সর্বশেষ খবর
LATEST NEWS
📰জাকসুতে মেঘ-লিমনের নেতৃত্বে আরেকটি স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা
সম্পূর্ণ নিউজ
সংগৃহীত ছবি
জাকসু নির্বাচন: ছাত্রী হলে ভোট ছাড়াই জয়ী হবেন অনেকে!
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলেও অনুষ্ঠিত হবে হল সংসদ নির্বাচন। কিন্তু বাস্তবতা হলো— প্রত্যাশিত উদ্দীপনা বা উচ্ছ্বাসের পরিবর্তে নির্বাচন ঘিরে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জনবল সংকট, প্রার্থীর ঘাটতি এবং শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অনীহা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২১টি হলে প্রতিটি হলে ১৫টি করে মোট ৩১৫টি পদ রয়েছে। কিন্তু কোনো সংগঠনই সব পদে প্রার্থী দিতে পারেনি। ছাত্রদল কেবল তিনটি হলে প্যানেল দিতে পেরেছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ প্যানেল ঘোষণা করলেও হল পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বামপন্থী জোট ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও অন্য অংশগুলোও একই সংকটে ভুগছে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের একক আধিপত্য, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি এবং শিক্ষার্থীদের হতাশা— সব মিলিয়ে সংগঠনগুলো প্রার্থীদের রাজি করাতে পারছে না। অনেকেই কেবল ভিপি, জিএস ও এজিএসের মতো মর্যাদাপূর্ণ পদে লড়তে চান, ফলে অন্যান্য পদে শূন্যতা থেকেই যাচ্ছে।
ছাত্রী হলে সংকট আরও গভীর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ছাত্রী হলে মোট ১৫০টি পদ থাকলেও প্রার্থী হয়েছেন মাত্র ১৩৭ জন। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী—
৪টি হলে ১৫টির কম প্রার্থী রয়েছেন। ২টি হলে ১৫ জন করে প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমিত। একক প্রার্থী থাকায় অনেকেই ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন।
সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে— এখানে ভিপি, জিএসসহ মাত্র ৬টি পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। অর্থাৎ সরাসরি বিনা ভোটে জয়। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে প্রীতিলতা হল, ফজিলাতুন্নেছা হল, সুফিয়া কামাল হল ও ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে— যেখানে ভিপি পদে মাত্র একজন করে প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার শিল্পবাংলাকে বলেন, ”যেসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সেসব প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার দিনই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।”
শিক্ষার্থীদের অনীহা ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
ছাত্রী হলগুলোতে ইসলামী ছাত্রশিবির কিংবা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কোনো সংগঠনই প্রার্থী দিতে পারেনি। শিবিরের দাবি, কেবল ছাত্রদের হলে কিছু প্রার্থী রয়েছে। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদও বলছে, তারা ছাত্রী হলে কোনো শীর্ষ পদে প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেনি। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই প্রধান ভরসা।
অন্যদিকে, বামপন্থী জোটগুলো এখনও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি। তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও জনবল সংকটের কারণে হলে প্রার্থী দেওয়ার মতো সক্ষমতাও নেই।
সার্বিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদের বিপরীতে ২৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হল সংসদে ৩১৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৮১ জন। কিন্তু ছাত্রী হলে প্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুপস্থিত। অনেক পদে নিশ্চিত বিজয়ী আগেই ঠিক হয়ে গেছে।
দীর্ঘ বিরতির পর এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতান্ত্রিক চর্চার পুনর্জাগরণ ঘটাবে— এমন প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রার্থী সংকট, শিক্ষার্থীদের উদাসীনতা এবং সংগঠনগুলোর ব্যর্থতা সেই প্রত্যাশাকে ম্লান করে দিয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রী হলগুলোতে ভোট ছাড়াই জয়ী হওয়া প্রশ্ন তুলছে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার মান নিয়ে।
ক্যাম্পাস
জাকসুতে মেঘ-লিমনের নেতৃত্বে আরেকটি স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা
ক্যাম্পাস
মধ্যরাতে চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত ৬০
ক্যাম্পাস
জাকসু নির্বাচন: ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
ক্যাম্পাস
নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচি
ক্যাম্পাস
জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা
ক্যাম্পাস
জাকসু প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের দাবিতে আমরণ অনশনে জাবি শিক্ষার্থী
ক্যাম্পাস
জাকসু নির্বাচন: ছাত্রী হলে ভোট ছাড়াই জয়ী হবেন অনেকে!
ক্যাম্পাস
জাবি অধ্যাপক তারিকুল ইসলামকে অক্সফোর্ডে আমন্ত্রণ
ক্যাম্পাস
কার্বন দূষণ মোকাবেলায় ‘লিকুইড-ট্রি’ উদ্ভাবন করেছে জাবির একদল গবেষক
ক্যাম্পাস
ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত